আত্মশুদ্ধি প্যাকেজ
Hotline Order:
09AM - 08PM
01714979921
অনন্ত সুখের জান্নাত যদি পেতে চাও
পৃথিবীজুড়ে সব মানুষের একটাই চাওয়া—সুখ। আমরা সুখের পেছনে ঘুরতে থাকি অবিরাম। অনন্ত সুখের জান্নাতকে ভুলে ক্ষণস্থায়ী সুখের পেছনে বিসর্জন দিই নিজেদের জীবনযৌবন সব। অবশেষে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় বিভ্রান্ত হয়ে গোত্তা খাই শূন্যে। কিন্তু কীভাবে পাওয়া যাবে অনন্ত সুখের জান্নাত—তা অনেকে জেনেও যেন জানি না, বুঝেও যেন বুঝি না। বক্ষ্যমাণ বই আপনাকে বাতলাবে অনন্ত সুখের জান্নাত লাভের উপায়।
দৃষ্টি সংযত রাখুন
একজন মুমিনের জন্য নামাজ পড়া যেমন ফরজ, তেমনই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও ফরজ। গুনাহের মধ্যে অন্যতম হলো কুদৃষ্টি। এই কুদৃষ্টির কারণে একজন খাঁটি ঈমানদার ধীরে ধীরে যাবতীয় গুনাহে লিপ্ত হতে শুরু করে। সমূহ গুনাহের মূলেই আছে—কুদৃষ্টি।
বর্তমানে অনেক নামাজি মুমিন পাওয়া যায়, অনেক ইবাদতকারী মুসলিম পাওয়া যায়, কিন্তু দৃষ্টি সংযতকারী মানুষ পাওয়া দুষ্কর। রাস্তায় চলতে গেলে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এই গুনাহ হয়েই যায়। তার উপরে এখন আবার যুক্ত হয়েছে—স্মার্টফোন। দৃষ্টি সংযত রাখার বিষয়টি যেন আস্তে আস্তে সয়ে যাচ্ছে, এটাকে গুনাহ-ই মনে করা হচ্ছে না। বক্ষ্যমাণ বইটি আমাদের দৃষ্টি সংযত রাখতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ।
জবান সংযত রাখুন
“সাহল বিন সা’দ রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সা. এরশাদ করেন যে ব্যক্তি আমাকে দুটি জিনিসের নিরাপত্তা বিধানের গ্যারান্টি দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দেব। এক. জবান, দুই. লজ্জাস্থান।” সহীহ বুখারী, কিতাবুর রিকাক।
প্রথমত জবানের হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে এটা দিয়ে মিথ্যা বলা যাবে না। গীবত করা যাবে না। অপব্যবহার করা যাবে না। এর মাধ্যমে কারো অন্তরে আঘাত করা যাবে না। এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে হবে। যিনা ব্যভিচারে জড়ানো যাবে না। এ দুটি কাজের নিরাপত্তা যদি কেউ দিতে পারে, তাহলে তার জন্য আমি জান্নাতের গ্যারান্টি দেব। এতে বুঝা গেল জবানের হেফাজত করা এটা অর্ধ দ্বীন হেফাজতের নামান্তর। অর্ধ দ্বীন রয়েছে জবানের হেফাজতের মধ্যে আবার অর্ধ গুনাহ রয়েছে এর গলদ ব্যবহারের মধ্যে।
কবিরা গুনাহ
মানুষমাত্রই পাপী; আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি গুনাহগার। নফসের ওয়াসওয়াসা বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বারংবার গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ি। এ গুনাহ কিন্তু বান্দা ও তার রবের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে। বান্দার পাপের মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, সেই দূরত্ব তত বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ এভাবে একসময় বান্দা স্বীয় রবের রহমত থেকে ছিটকে পড়ে। মারা যায় ঈমানহারা হয়ে।
তাই গুনাহ হয়ে গেলে বসে থাকা যাবে না৷ যেভাবেই হোক তা মোছন করতে হবে। সগিরা গুনাহসমূহ তো বিভিন্ন নেক আমল দ্বারা আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন, কিন্তু কবিরা গুনাহর জন্য খালেস তাওবা করতে হয়। অথচ পরিতাপের বিষয় হলো, অনেক মুসলিম ভাই ও বোন আছেন, যারা কবিরা গুনাহ সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না৷ বক্ষ্যমাণ অনূদিত বইটি আপনাকে কবিরা গুনাহ পরিপূর্ণভাবে চিনতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি তা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথও বাতলে দেবে, ইনশাআল্লাহ।
মুমিনের মুক্তির পথ
পৃথিবীজুড়ে সব মানুষের একটাই চাওয়া—সুখ। আমরা সুখের পেছনে ঘুরতে থাকি অবিরাম। অনন্ত সুখের জান্নাতকে ভুলে ক্ষণস্থায়ী সুখের পেছনে বিসর্জন দিই নিজেদের জীবনযৌবন সব। অবশেষে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় বিভ্রান্ত হয়ে গোত্তা খাই শূন্যে। কিন্তু কোন পথে মুমিনের মুক্তি, কীভাবে পাওয়া যাবে অনন্ত সুখের জান্নাত—তা অনেকে জেনেও যেন জানি না, বুঝেও যেন বুঝি না।
বক্ষ্যমাণ বই আপনাকে দেখাবে সেই মুক্তির পথ।
এই জীবন আল্লাহর জন্য
আল্লাহর কাছে প্রতিদান ও সওয়াব লাভের আশায় কোনো মহান ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে জীবন, সম্পদ ও সময় ব্যয় করা ইসলামের দাবি। মুমিনের গোটা জীবন এবং জীবনের সব কিছু আল্লাহর জন্য সমর্পিত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘বলে দাও, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য।’
একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পার্থিব সম্পদ হলো তার জীবন।
এই জীবনকে ঘিরেই মানুষের বুকে কত স্বপ্ন-আশা লালিত হয়। আর সে যখন তার এই প্রিয় জীবনকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে, তখন সেটা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসর্গ।
ঈমানদারদের সর্বপ্রকার চেষ্টা থাকে গোটা জীবন বিলীন করে দিয়ে হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করা।
যেভাবে আল্লাহর প্রিয় হবেন
নশ্বর এই পৃথিবীতে প্রকৃতপক্ষে কেউ-ই আমাদের আপন নয়৷ একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া। আপদবিপদে তাঁর কাছেই আমরা ছুটে যাই। লুটিয়ে পড়ি তাঁরই কুদরতি পায়ে৷ দুনিয়ার সবকিছু পেয়েও যদি আল্লাহর প্রিয় না-হতে পারি, তাহলে এ জীবন ব্যর্থ। বক্ষ্যমাণ বইটিতে কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হতে পারব—কুরআন ও হাদিসের আলোকে সেসব বর্ণনাই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর প্রিয় হওয়ার তাওফিক দান করেন৷ আমিন৷
মুমিনের পরকাল ভাবনা
আমরা যারা কালিমা পড়েছি, মুসলমান হয়েছি, অবশ্যই বিশ্বাস রাখি পরকাল জীবন সম্পর্কে। কিন্তু পরকালের ভাবনা আমাদের মনে সব সময় সজাগ থাকে না। জান্নাত, জাহান্নাম, হিসাব-নিকাশ সবকিছুকেই আমরা বিশ্বাস করি, তাইতো আমরা মুসলমান। কিন্তু পরকালের এই বিশ্বাস আমাদের অন্তরে সজাগ থাকে না বলেই আমরা করি যাবতীয় গুনাহ। বর্জন করতে থাকি, ইসলামের বিধানগুলো। ছেড়ে দিতে থাকি ইসলামের নির্দেশনাগুলো। একজন মুসলিমকে ইসলামের বিধি-বিধানগুলোতে অভ্যস্ত এবং অবিচল রাখতে সর্বাধিক কার্যকর, পরকালের চিন্তা তার মনে জাগ্রত রাখা। এক মুহুর্তের জন্যও আমাদের অন্তর থেকে যদি পরকালের চিন্তা হারিয়ে যায়, তাহলে আমরা ইসলামের বিধান থেকে ছিটকে পড়ি। সাঈদ ইবনু জুবাইর, রবি ইবনু আবি রাশেদ রহিমাহুল্লাহুম সহ অনেক সালাফ (পূর্ববর্তী বুযুর্গ) বলেছেন, ‘মৃত্যুর চিন্তা যদি আমাদের অন্তর থেকে এক মুহুর্তের জন্যও বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে আমাদের অন্তরগুলো নষ্ট হয়ে যায়’। নিজেদের অন্তরে পরকালের চিন্তা সদা জাগ্রত রাখতে এবং আখিরাতের বিশ্বাসটা শাণিত করতে আমাদের জন্য এই বই।
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.